বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

গুণগত শিক্ষা ও শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ
শিক্ষার্থীকে করবে সমৃদ্ধ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আব্দুল কাদের চৌধুরী নারী কল্যাণ শিক্ষালয়, শ্যামপুর, কানসাট, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ উত্তর বঙ্গের এক ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৭৮ সাল থেকে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা ও কাগজি সার্টিফিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না। পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটানোর চেষ্টা করে চলেছে। যার ফলস্বরূপ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীরা আজ অনেকেই দেশ ও দেশের বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে তাদের দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতি প্রাক্তন ছাত্রীদের রয়েছে অদম্য ভালোবাসা।  করোনাকালীন সময় দুঃখী, অসহায়, অসুস্থ মানুষের পাশে থেকেছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিবস উদ্‌যাপনে শিক্ষকদের পাশাপাশি থেকে কাজ করে চলেছে। 

আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিয়মিত অধ্যাবসায় একজন দুর্বল শিক্ষার্থীকেও সবল করে তোলে। বর্তমানের এই আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক যুগে অলস ভাবে সময় অতিবাহিত করার কোনো সুযোগ নেই। পরিবর্তিত কারিকুলাম ও সিলেবাসের ভিত্তিতে সঠিক পদ্ধতিতে পাঠ গ্রহণের ও অনুশীলনের জন্য বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ একদিকে যেমন সুশিক্ষিত অপরদিকে পরিবর্তিত কারিকুলাম ও নতুন শিখন পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কাজেই কোনো বিকল্প না ভেবে নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের সান্নিধ্যে পাঠ গ্রহণ করে নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য যথার্থরূপে তৈরি করা সম্ভব। এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের যত শিক্ষার্থী উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে তারা প্রত্যেকেই নিয়মিত ছাত্রী ছিল। মনে রাখবে শিক্ষা কোন করুণা নয়, শিক্ষা তোমাদের অধিকার। কাজেই পাঠের কোন বিষয়ে দুর্বোধ্য মনে হলে শিক্ষকগণকে প্রশ্ন করে জেনে নেবে। এ ব্যাপারে আমার শিক্ষকগণ খুবই আন্তরিক।


পরিশেষে নতুন বছর ও নতুন শিক্ষাবর্ষ আপনাদের সকলের জীবনকে সমৃদ্ধময় করে তুলুক এই শুভকামনা রইল সবার প্রতি।